বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার মতো মুন্সিগঞ্জের মাটিতেও সাংবাদিকদের পায়ে পায়ে ধাক্কা লাগার পরিমাণ এখন কতটা বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে কারো মাথাব্যথা যেমন নেই তেমনি নেই সাংবাদিক বৃদ্ধির হারের বিপরীতে দূর্ণীতি কমার ও নাগরিক সেবা বৃদ্ধির হার বলে অভিযোগ উঠেছে। মুন্সিগঞ্জের স্থানীয় বাজারে সাংবাদিক নামক পণ্য এখন সবচেয়ে কম দামে অথচ বেশী পাওয়া যাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র বলছে।
মুন্সিগঞ্জ জেলার ৯৫৪.৯৬ বর্গ কি:মি আয়তনে জনসংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষ ৪৬ হাজার,৬টি থানা,৬টি উপজেলা,২টি পৌরসভা,৬৮টি ইউনিয়ন,৯৭০টি গ্রাম,জেলা হাসপাতাল ১টি,উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২৪ টি,হিমাগার ৬১টি,সাংস্কৃতিক সংগঠন ৩৩টি,গাভীর খামার ৫০৯টি,ছাগলের খামার ৪৯টি,ভেড়ার খামার ৬৩টি, অগণিত জাল ফ্যাক্টরী। আরো রয়েছে কৃষিজাত পণ্য,প্রাকৃতিক দূর্যোগ,নৌদূর্ঘটনা,সড়ক দূর্ঘটনা,মাদক,রাজনৈতিক ও গ্রাম পর্যায়ে হানাহানির মতো নিত্য ঘটনা-এর বিপরীতে মুন্সিগঞ্জের বসবাসকারী নাগরিক,প্রশাসন তথা দেশকে সচেতন করার ক্ষেত্রে সংবাদ সংগ্রহ ও উপস্থাপনকারী চৌকস সাংবাদিকদের সংখ্যা কি খুব বেশি বলে মনে হয়?
মুন্সিগঞ্জের মতো একটি ঐতিহাসিক জেলার স্বকীয়তা বজায় রাখতে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় উদ্ভাবিত সুবিধা,উদ্ভূত অসুবিধা,পরিবেশ-পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জাতীর বিবেকদের স্থানীয় সংঘ মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাব চৌকস সাংবাদিকদের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় একটি মান ধরে রেখে সর্বদা জাগ্রত থেকে নাগরিকদের সমস্যার সমাধানে সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠা ও আগামীর জবাবদিহিমূলক প্রশাসন,রাজনীতি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এতদ্বসত্বেও রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে স্বনামধন্য সাংবাদিক ইউনিয়ণের নামে আরেকটি সাংবাদিক সংগঠন মুন্সিগঞ্জের কিছু রাজনৈতিক মতলববাজ ও সাংবাদিক পেশা নামের অপব্যবহার করে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়ায় মিথ্যে তথ্য দিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কৌশলে-ভয়ভীতি প্রদর্শনে-আর্থিক প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে কলুষিত করেছে এই মহান সংগঠন ও তাঁর সাথে জড়িত অন্যান্য অভিজ্ঞ সৎ সাংবাদিকদের বলে জোরালো অভিযোগ উঠেছে। প্রলোভনতাড়িত প্রয়োজনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু সৎ সাংবাদিককেও অপ-সাংবাদিকতায় বা হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িয়ে ফেলছে এই সাংবাদিক সংঘের ব্যনারের চাদরে মুড়িয়ে থাকারা।আদর্শ সাংবাদিকরা লজ্জায় নিজের সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতেও লজ্জিত হচ্ছেন। এভাবে জাতীর বিবেক-বিবেকদের সংঘ বা ইউনিয়ন কলুষিত হতে পারেনা। তাই রাজনৈতিক ক্ষেত্রেই শুধু আমূল পরিবর্তন নয় রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রেই বৈষম্য-অপব্যাবহার রোধ করার প্রয়োজনীতামাফিক সংস্কার এখনই জরুরী। সচেতনমহল মনে করেন সেই সংস্কার যেন রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভখ্যাত সাংবাদিকদের নিজঘর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য তাঁদের কলম চালিয়ে যান।
সম্প্রতী, মুন্সিগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নে অপ-সাংবাদিকতার অভিযোগে থাকা হলুদ সাংবাদিকদের চিহ্নিতকরন এবং কার্যকরী ব্যাবস্থা গ্রহন করে কিভাবে সাংবাদিকতার আদর্শ পেশাকে সমুজ্জ্বল রাখা যায়-সে ব্যাপারে জানতে মুন্সিগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী বিপ্লব হাসানকে প্রশ্ন করলে তিনি অসংলগ্নভাবে কথা বলেন। পরে তাকে সহজভাবে বুঝিয়ে প্রশ্ন করলে জানান যে,গত ৫ বছরে তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন মুন্সিগঞ্জকে সাজাতে পারেননি এবং এ সময়ের মধ্যে কেউ অপ-সাংবাদিকতায় জড়ালে দায়ভার তার ওপরই বর্তায় বলে স্বীকার করেন।তিনি এটাও বলেন যে, সেক্রেটারী রুবেল সদস্য যুগিয়ে আমাকে ভালো বলে জানালে তবেই তিনি অনুমোদন দেন।
মুন্সিগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, দি বাংলাদেশ পোস্ট এর মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি মো:রুবেলকে সাংবাদিক ইউনিয়নের ব্যানার ব্যাবহার করে জাল সার্টিফিকেটধারী হলুদ সাংবাদিকদের কিভাবে চিহ্নিত করে নির্মুল করা যায় জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, আসলে কেউই ফরম ফিলাপের সময়ে সঠিক তথ্য দেন না। ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত উল্লাহ দেওয়ান বলেন, সম্প্রতী নির্বাচনে তিনি জয়ী হয়েছেন-সেই জয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অনেকেই তার পেছনে লেগেছেন। জালসার্টিফিকেটধারী অল্পশিক্ষিত সদস্যরা কিভাবে মুন্সিগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নে আপনার মতো সাংগঠনিক সম্পাদক থাকতে স্থান পায় প্রশ্নে তিনি জানান যে, অনেক উচ্চশিক্ষিত সাংবাদিকও অল্পশিক্ষিত সাংবাদিকদের মতো নিউজ করতে পারে না। আর আমরা এ বিষয় নিয়ে বসবো কোন সমাধান করতে না পারলে পদত্যাগ করবো বলেও জানান।
মুন্সিগঞ্জের সচেতনমহল আশা করছেন,সাংবাদিক ইউনিয়নের মতো একটি শক্তিশালী স্বনামধন্য সংগঠনে থাকা সৎ ও যোগ্য সাংবাদিকেরা যেন এবার তাঁদেরই সম্মান বাঁচাতে যোগ্য নেতৃত্বের বলয় সৃষ্টি করে অপ-সাংবাদিকতা বন্ধ করতে রুখে দাঁড়াবেন