ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: এম ডিঃ এম হাসান
মরক্কোর কারাগারে বন্দিদের ধর্মীয় মূল্যবোধ উন্নতিতে কোরআন মুখস্থ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছিল। তাতে করে অভূতপূর্ব সাড়া মেলেছে। যা ইতিমধ্যে ১৩ হাজারের বেশি বন্দি হাফেজ হয়েছেন । আহলুল বাইত নিউজ এজেন্সির (এবিএনএ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছিলো।
মুল ঘটনাটি ঘটেছে মরক্কোয়। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটিতে কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মরক্কোর সব কারাগারগুলোতে আয়োজিতো কোরআন মুখস্থ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ১৩,৪৬৪ জন বন্দি এই পবিত্র গ্রন্থটি মুখস্ত করেছেন। আওকাফ এবং ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজিত গাইডেন্সের প্রোগ্রাম এবং খুতবায় ৬৭ হাজারেরও বেশি বন্দি অংশ নিয়েছে। এদের অনেকে এখনও শিখছেন। আশা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে অনেকেই হাফেজ হবেন।
আগামী বছরের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে কারা কর্তৃপক্ষ জানান।তারা ধর্মীয় ও কোরআনিক অনুষ্ঠান আয়োজনে মন্ত্রণালয়ের সাথে সহযোগিতার হাত অব্যাহত রাখবে। যাতে করে বন্দিদের মূল্যবোধের উন্নতি এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে নিজের জীবন গঠন করতে এ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ২০২৫ সালে কারাগারে কুরআন মুখস্থ কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে জানানো হয়েছে।
মরক্কো সকল কারাগারে ইসলামী নির্দেশনা প্রচারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। মরক্কো আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভূমধ্যসাগরের সীমানায় অবস্থিত একটি উত্তর আফ্রিকার আরব দেশ। মরক্কোতে ইসলাম প্রধান ধর্ম। প্রায় ৯৯% শতাংশ মানুষ ইসলামের অনুসারী।