ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হওয়ার আগেই তাঁর পরিকল্পিত অভিবাসন নীতির প্রতিক্রিয়া যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় শুরু করেছে। জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা ও সামরিক বাহিনী ব্যবহারের মতো পদক্ষেপ তাঁর প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কার্যক্রমের কড়া বার্তা দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছেন। সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে জাতীয় জরুরি অবস্থা জারি করবেন এবং প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী ব্যবহার করবেন।
ট্রাম্পের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে রক্ষণশীল এক অধিকারকর্মীর পোস্ট শেয়ার করে তিনি বলেন, "এটি সত্যি।" সেই পোস্টে দাবি করা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করছে।
ট্রাম্পের মতে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে মেক্সিকোর সীমান্ত দিয়ে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। এটি ঠেকাতে প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছিলেন। এবার ক্ষমতায় এসে তিনি সীমান্ত সুরক্ষার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী বসবাস করছেন। ট্রাম্পের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২ কোটি পরিবার সরাসরি এই নীতির আওতায় প্রভাবিত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
ট্রাম্প ইতিমধ্যেই অভিবাসন বিষয়ে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত টম হোম্যানকে সীমান্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োগ দিয়েছেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২৫ সালে হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে শপথ নেবেন ট্রাম্প। তবে তার আগেই নতুন প্রশাসন গোছানোর কাজ শুরু করেছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিনকে মনোনীত করেছেন তিনি। অন্যদিকে, জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক হিসেবে তুলসী গ্যাবার্ডকে মনোনয়ন দিয়েছেন, যা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। অভিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণে কাজ করা বিভিন্ন সংগঠন এই পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেছে।