ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন মামলার আসামি ও গ্রেপ্তার হওয়া নেতা-কর্মীদের বিশেষ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও পুলিশের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) সদস্যরা এ কাজ করছে।
আইনি প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার এবং জামিন ঠেকাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তালিকায় আসামিদের মামলা, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও মোবাইল নম্বর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রসিকিউশন থেকে জামিন প্রতিরোধে বিরোধিতা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
জুলাই-আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সহিংসতার ঘটনায় প্রায় ২১০০ মামলা হয়েছে, যেখানে আসামি প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার। এসব মামলায় বেশিরভাগ আসামির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, যুবলীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া টিপু এবং শেখ হাসিনার বান্ধবী সাবেক এমপি জোবেদা খাতুন পারুল।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করা, গ্রেপ্তার জোরদার করা এবং আদালতে জামিনের বিরোধিতা করা। পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রসিকিউশন থেকে জামিনের শতভাগ বিরোধিতা করা হচ্ছে, তবে কিছু ক্ষেত্রে তদবির ও দলীয় পরিচয়ের কারণে জামিন মিলছে।
প্রাথমিকভাবে ব্যাপক গ্রেপ্তার হলেও এখন অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন বা দেশত্যাগ করেছেন। সরকার চায় গুরুত্বপূর্ণ মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও জামিন প্রতিরোধ করতে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক বলেন, আসামিদের জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে, তবে বিশেষ সুবিধা দিয়ে জামিন দেওয়া হচ্ছে কি না, সেটি দেখা জরুরি।