লেবানন সরকার ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে লেবাননের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।
যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালীন সোমবার ইসরায়েল লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বিমান হামলা চালায়। এতে পাঁচজন নিহত ও ৩১ জন আহত হয়েছেন। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এই হামলায় মধ্য-বৈরুতের জুক্বাক আল-ব্লাত এলাকায় ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলার পর থেকে দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইসরায়েলের হামলার জবাবে হিজবুল্লাহও তেল আবিবের স্পর্শকাতর সামরিক স্থাপনায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তেল আবিবের শহরতলিতে একটি ঠেকানো ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ পড়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ছয়জন আহত হন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত আমোস জে. হোচস্টেইন শিগগিরই বৈরুতে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তিনি যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন। কূটনীতিকদের মতে, আলোচনা এখনও চূড়ান্ত হয়নি, তবে এর অগ্রগতি চূড়ান্ত চুক্তির সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সম্ভাব্য চুক্তিটি বাস্তবায়িত হলে ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের অবসান ঘটবে। তবে পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। রাজধানী বৈরুতসহ আশপাশের এলাকায় হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল, অন্যদিকে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও অব্যাহত রয়েছে।
আলোচনার সফল বাস্তবায়ন সংঘাতপূর্ণ এ অঞ্চলে কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতা আনতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।