"চীরদিন কাহারো সমান নাহি যায়
আজকে যে রাজাধীরাজ
কাল সে ভিক্ষে চায়"
আমাদের এই মাতৃভূমি হরেকরকমের নাটকে পূর্ণ।যাত্রার এখন তেমন খাওয়া নেই কিন্তু সিনেমা এখন ঘরে ঘরে! এখন সবাই নায়ক-নায়িকা হওয়ার চেয়ে 'ভিলেন'বনতে আশায় যেন বুক বাঁধে! আসলে আমাদের দেশ ভিলেনে পূর্ণ! নিজেকে ভিলেন ভাবতে ও প্রমাণে বেশ যত্নে আয়োজন সম্পন্ন করে আজকাল মানুষগুলো!
প্রতিটি পেশাশ্রণীর মানুষ তার দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে তার গ্রাহক-কর্মী-সহযোগীকে বাংলা ভাষায় খোয়ারের মুরগী আর হিন্দী ভাষায় খুরকা মনে করে! তাই সততা ও সঠিক দায়িত্ব পালনের বিপরীতে স্বার্থের জালে নিরপেক্ষতা হারিয়ে অবৈধতাকে গ্রহণ করে হিংস্রতাকে জানান দিয়ে ভিলেনে পরিণত হতে চায়। এতে তদবির বানিজ্য,লুটপাটের ভাগ,তোষামোদি করার লোকবল আর সম্মানকে খোঁজে! কিন্তু গনেশ উল্টে গেলে কি হয়-এ জাতী আজ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।কিন্তু ইতিহাসের শিক্ষা হলো ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না!
শহর বন্দরের রাস্তাঘাটের ফুটপাতসহ দখলে আর দখলের,ছিনতাই আর চাঁদার জ্বালায় কাঁপছে! কিন্তু গুলশান হলের মূল পোষ্টার স্ট্যান্ডটি দখল হয়ে যাওয়া আর সিনেমার বিজ্ঞাপনে সাবেক এমপি শামীম ওসমান,তাঁর পুত্র অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমীর আর গুলশান হলের মালিক লাভলু ও তার ছেলে বিকি'র ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপনের পোস্টারে লেখা " এদের ধরিয়ে দিন"-এই ধরনের দখলকে কি বলা যায়? এই দখলের ব্যাপারে পথচারীদের বিভিন্ন অনুভবের জন্ম দেয় কিন্তু অনুভূতির প্রকাশ প্রকাশ্যে কাউকে করতে দেখা যাচ্ছেনা!
যেখানে সিনেমার নায়ক নায়িকা আর ভিলেনদের ছবি দেখে হলে প্রবেশ করে,সেখানে "এদের ধরিয়ে দিন" সিনেমার দৃশ্য দেখার জন্য কেন সিনেমা হল খোলা নেই?এই প্রশ্ন হয়তো অনেকেই করেন যারা ঘটনা জানেন না,তাই না?
আমাদের দেশের রাজনীতিতে নিত্য পালাবদলে এই সিনেমার পোষ্টারে কি আবারও অন্যকারো ছবি বসবে? আমাদের হাত বদল হয় কিন্তু চুলকানোর জায়গা একটিই!
মনে থাকেনা কাহারো"চীরদিন কাহারো সমান নাহি যায় বা অহংকার পতনের মূল"