জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কোরআন ড. মিজানুর রহমান আজহারির বয়ান কক্সবাজার ও আশপাশের জেলা থেকে কয়েক লাখ মানুষ সমবেত হয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের পেকুয়ায় মরহুম মাওলানা শহিদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মিজানুর রহমান আজহারি। তিনি রাত সাড়ে ৯টায় মঞ্চে ওঠেন এবং ৯টা ৩৫ মিনিট থেকে রাত ১০টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা বয়ান করেন।
বয়ানে তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও সাহাবি হযরত ওমর ফারুক (রা.)-এর জীবনী নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন। পাশাপাশি ২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এবং পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন।
ড. আজহারির আগমনের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর শুক্রবার সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে। মাহফিলস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আয়োজক কমিটি ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়দানস্থলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বসুন্ধরা মালিকানাধীন একটি হেলিকপ্টারে করে তিনি মাহফিলস্থলে পৌঁছান।
সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া ঐতিহাসিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের প্রথম অধিবেশনে আলোচনা করেন মনিরুল ইসলাম মজুমদার। অতিরিক্ত মানুষের চাপের কারণে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটে।
রাতে মাহফিলস্থল এবং আশপাশের এলাকা মহাসমুদ্রে পরিণত হয়। অনেকে দাঁড়িয়ে ড. আজহারির বয়ান শোনেন।
পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা নিয়ামত উল্লাহ নিজামী বলেন, “আজহারি হুজুরসহ জনপ্রিয় ইসলামি আলোচকদের আগমনে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের ঢল নেমেছে। প্রায় দুই ঘণ্টা বয়ান করে তিনি উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করেছেন।”
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, “জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা আজহারি হুজুরের বয়ান শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। মাহফিলে কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতি ছিল। নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী কাজ করেছে।”
ড. মিজানুর রহমান আজহারির ঐতিহাসিক এই তাফসির মাহফিল ধর্মপ্রাণ মানুষের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলেছে। বিশাল জনসমাগম ও নিরবচ্ছিন্ন বয়ানের মধ্য দিয়ে মাহফিলটি কক্সবাজারের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।