ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল কলেজ এবং ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। একই সাথে দুটি মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়া এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টির জন্য একটি গোষ্ঠী অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, "শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ নিহত হয়নি। কিছু পক্ষ থেকে নিহত হওয়ার মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দেশের পরিবেশ অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা সবার প্রতি অনুরোধ করছি, এসব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকতে।"
যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইলে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ, কবি নজরুল কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোমবার দুপুর থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোহরাওয়ার্দী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র রাজীব (১৯), শাহেদুল (২০), আশিকুল (২১), রোহান (১৯), সম্রাট (১৮), জয় (১৮), কবি নজরুল কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের রানা (২০), মারুফ (১৯), হাসিনুর (১৯), সিফাত (১৮), জাহেদুল (২১) সহ আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এছাড়া, সোলিমুল্লাহ কলেজ, ইম্পেরিয়াল কলেজ, দোলাইপাড় এ কে স্কুল, দনিয়া ব্রাইট স্কুল এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরাও আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, আহত শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের মাথায় এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোনো ধরনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। তবে সংঘর্ষের কারণ এবং আরও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে তদন্ত চলছে।
এদিকে, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মাহবুবুর রহমান একটি বিবৃতিতে বলেছেন, "এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি এবং কিছু অপশক্তি দেশব্যাপী অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। আমরা সবাই শান্ত থাকার আহ্বান জানাই।"