বিএনপিপন্থী ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে অস্ত্র মামলায় খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০০৭ সালে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় বাতিল করা হয়েছে। সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা ও ব্যারিস্টার মো. সাব্বির হামজা চৌধুরী। শুনানির পর আদালত উল্লেখ করেন যে, মামুনের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। ফলে তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি, সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই বছরের ২৬ মার্চ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। বিচারিক আদালত ওই বছরের ৩ জুলাই তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার আদালত তাকে অভিযোগ থেকে খালাস দেন এবং পূর্বের রায় বাতিল করেন।
ব্যারিস্টার সাব্বির হামজা চৌধুরী জানান, “মামুনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালতের সিদ্ধান্তে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, তার বিরুদ্ধে দেওয়া আগের রায় যথাযথ ছিল না।”
২০০৭ সালে গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকেই গিয়াস উদ্দিন আল মামুন কারাগারে রয়েছেন। হাইকোর্টের রায়ের পর তার মুক্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।
এই রায়ের ফলে মামুনের বিরুদ্ধে চলমান দীর্ঘদিনের মামলার অবসান ঘটল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক ও আইন বিশেষজ্ঞরা।