টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা ওমর আলী আজ শুক্রবার ভোরে মামলাটি করেন। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল বাসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত সোমবার রাত ১১টায় ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী ‘আমরি ট্রাভেলস’ বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে ডাকাতেরা বাসের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে যাত্রীদের মালামাল লুটপাট ও দুই নারী যাত্রীর শ্লীলতাহানি করে। এরপর বাসটিকে ঘুরিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে একই জায়গায় রেখে ডাকাতেরা নেমে যায়।
মামলার বাদী ওমর আলী জানান, ঘটনার পর থেকে তিনি আতঙ্কে ছিলেন। আজ ভোর চারটার দিকে পুলিশের গাড়িতে করে তিনি ও অন্যান্য যাত্রী সোহাগ হোসেন ও আবু হানিফ মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তাঁর স্বাক্ষর নিয়ে এজাহার রেকর্ড করা হয়, তবে তাঁকে এজাহারের বিস্তারিত পড়ানো হয়নি।
এদিকে, বাসের চালক বাবলু আলী, সুপারভাইজার সুমন ইসলাম ও সহকারী মাহবুব আলমও থানায় উপস্থিত ছিলেন। ওমর আলী অভিযোগ করেন, ঘটনার সঙ্গে তাঁরা জড়িত থাকলেও তাঁরা নিজেরাই মামলা করতে থানায় বসে ছিলেন।
থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা এসআই খায়রুল বাসার জানান, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে তবে এজাহারের বিস্তারিত তথ্য তাঁর কাছে নেই। মির্জাপুর থানার ওসি মোশারফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
এ ঘটনায় পুলিশ বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারীকে আটক করেছিল। পরে তাঁদের নাটোরের বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
ডাকাতির পর বাসের চালক ও সুপারভাইজার যাত্রীদের জানান, তাঁদের গাড়িতে তেল নেই, যা যাত্রীদের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করে। যাত্রীরা বাস নিয়ে প্রথমে মির্জাপুর থানায় মামলা করতে যান, তবে ওসি অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নেওয়া হয় এবং সেখানে মামলা প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ডাকাতির ঘটনায় সম্পৃক্তদের চিহ্নিত করতে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বাসের সুপারভাইজার, চালক ও সহকারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাত্রীরা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন।