বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী মুসলিমপাড়া গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী মো. আলমগীর খান (৬০) যুবলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর খান জানান, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগে তিনি কোনোদিন মন থেকে কাজ করেননি। শুধুমাত্র চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় ও তার বাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে ২০২২ সালে যুবলীগে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, "পীযূষ কান্তি রায় চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। তার ইশারায় সবকিছু চলত। তিনি উপজেলায় একটি সিন্ডিকেট বাহিনী গড়ে তোলেন। সেই বাহিনীর হাত থেকে জীবন বাঁচাতে আমি যুবলীগে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আজ থেকে যুবলীগের পদ থেকে পদত্যাগ করলাম এবং ভবিষ্যতে আর আওয়ামী লীগের কোনো সংগঠনের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করব না।"
আলমগীর খান অভিযোগ করে বলেন, আগে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তার ছোট ছেলে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক ছিলেন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পীযূষ কান্তি রায় তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় তার ছোট ছেলেকে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয় এবং পরিবারটির ওপর পুলিশের নির্যাতন শুরু হয়।
পরিস্থিতির চাপে পড়ে যুবলীগে যোগ দিলেও এখন আর তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান না।
সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর খান বলেন, "আমি চাই, ভবিষ্যতে যেন পরিবার-পরিজন নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারি। এজন্য আমি গ্রামবাসী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।"
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. আবু জাফর মোল্লা, মো. শহীদুল ইসলাম, আবু সাইদ হাওলাদার ও মিজান বাওয়ালী প্রমুখ।