ঝিনাইদহের সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ৫ জন নারীকে বিনামূল্যে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করেছে ঝিনাইদহের যৌথ অগ্রসরমান সৃজক সংস্থা (জাগো), বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে।
গতকাল সকালে পরানপুর গ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জিল্লুর রহমান এনডিসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাগো'র নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল শরীফ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সদস্য আব্দুল বারী, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য সালমা খাতুন, জাগোর নির্বাহী সদস্য সাইফুল ইসলাম, এবং প্রকল্প সমন্বয়ক এস এম নাজির আরেফিন।
সদর উপজেলার ৫ জন হতদরিদ্র নারীর হাতে বকনা বাছুর তুলে দেওয়া হয়। এর আগে, নারীদের গাভী পালনের মৌলিক দিকগুলো নিয়ে ১ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সদর প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক হাসান মুসা।
প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে গাভীর খাদ্য ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা, দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি, এবং গরু পালনের মাধ্যমে পরিবারের আয় বাড়ানোর কৌশল শেখানো হয়। এ ধরনের উদ্যোগ নারীদের স্বনির্ভর করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে নারীরা শুধুমাত্র আর্থিক স্বচ্ছলতার পথে এগিয়ে যাবে না, বরং সমাজে তাদের অবস্থানও আরও শক্তিশালী হবে। প্রধান অতিথি ড. জিল্লুর রহমান বলেন, “নারীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করা হলে তা পুরো পরিবারের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”
এনজিও ফাউন্ডেশন এবং জাগোর সম্মিলিত এই উদ্যোগ নারীদের ক্ষমতায়নে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আগামীতেও এ ধরনের প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন আয়োজকরা।
বকনা বাছুর পাওয়া নারীরা তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, এ উদ্যোগ তাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। তারা আশাবাদী যে সঠিক পরিচর্যা ও যত্নের মাধ্যমে তারা এই গরু থেকে দুধ উৎপাদন করে স্বনির্ভর হতে পারবেন।
এ ধরনের প্রকল্প শুধু নারীদের স্বাবলম্বী করাই নয়, আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর পরিসরে এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে তা গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।