সদ্য বিদায়ী ডিসেম্বর মাসে দেশের পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ ডলার। তবে চলতি বছরের একই সময়ে এই আয়ের পরিমাণ বেড়ে ৪৬২ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।
ডিসেম্বর মাসে তৈরি পোশাক খাত থেকে আয় হয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে নিটওয়্যার রপ্তানি থেকে আয় এসেছে ১৮৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা ১৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তবে ওভেন পোশাক রপ্তানি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ১৮৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলারে, যা গত বছরের তুলনায় ১৮ দশমিক ০৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ডিসেম্বর মাসে কৃষি পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং হোম টেক্সটাইলের রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। এ খাতের আয় বেড়েছে ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ। ডিসেম্বরে এ খাত থেকে আয় হয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলার। ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে কৃষি পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ১ লাখ ডলার।
চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) প্রথম ছয় মাসে, অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রপ্তানি আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
এই সময়ে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া এবং হোম টেক্সটাইলসহ মোট ২৭ ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাতই সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
দেশের রপ্তানি খাতের এই প্রবৃদ্ধি প্রমাণ করে, বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশ ক্রমেই প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান তৈরি করছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি এবং অন্যান্য খাতের প্রবৃদ্ধি ভবিষ্যতে আরও বড় সাফল্যের ইঙ্গিত দেয়।