জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক (ডিজি) এ এস এম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, তথ্য যাচাইকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন কমিশনের সার্ভার থেকে নাগরিকদের সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করতে দেওয়া হবে না।
বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ১৮২টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচাই করে। তবে সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে, যার মধ্যে ৫টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
গত সপ্তাহে তথ্য ফাঁস রোধে করণীয় নির্ধারণে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন। এরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এনআইডির ডিজি বলেন, এখন থেকে কোনো প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির সম্পূর্ণ তথ্য যাচাই করতে দেওয়া হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলো যে তথ্য যাচাই করতে চাইবে, তাতে শুধু “সঠিক” বা “ভুল” বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে নাগরিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তৃতীয় কোনো পক্ষ যাচাই করতে পারবে না।
এছাড়া, তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক করা হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে একটি কমিটি গঠন করা হবে, যা অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও তদন্ত করতে পারবে।
এ সময় তিনি জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রের সংশোধনের পেন্ডিং আবেদন নিষ্পত্তির জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেওয়া হয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত ৫০% আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে এবং খুব দ্রুতই বাকি আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করা হবে।