ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ (পিআর অ্যান্ড এইচআরডি) আয়োজিত ‘জিডি অনুসন্ধান’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের ৩য় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করতে হবে এবং কোনো প্রকার বিলম্ব করা যাবে না।
কমিশনার আরও বলেন, “নগরবাসী থানায় জিডি করার পর তাদের প্রত্যাশিত সেবা দ্রুত দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে প্রতিবেদন ওসির কাছে জমা দিতে হবে। পরে ওসি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। পুলিশ সদস্যদের অবশ্যই জনসাধারণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে, পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।”
এছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, পিপিএম, যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রেনিং) মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান, উপপুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মো. আব্দুর রউফ, এবং উপপুলিশ কমিশনার (প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ) মোহাম্মদ মাসুদ রানা।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী দায়িত্ব গ্রহণের পর থানায় যেকোনো অভিযোগ বা জিডি প্রাপ্তির পর দ্রুততম সময়ে পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনার বাস্তবায়ন করতে ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ চারটি পর্বে মোট ২০০ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। প্রতিটি পর্বে ৫০ জন করে প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন।
এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা ডিএমপির প্রতিটি থানায় গিয়ে দ্রুততম সময়ে জিডি নিষ্পত্তি করতে এবং সঠিক অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।