খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিপুল পরিমাণ বিদেশি মাদক, মদ এবং বিয়ার উদ্ধার করেছে। অভিযানে মাদক সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অভিযোগে ৩৯৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৮টি বিশেষ দল অভিযান চালায়।
হোটেল ওয়েস্টিন থেকে ১৩৬ বোতল বিদেশি মদ এবং ৩২৬ ক্যান বিয়ার, হোটেল রেনেসাঁ থেকে ৩২ বোতল বিদেশি মদ, শেরাটন হোটেল থেকে ৬ বোতল বিদেশি মদ, হোটেল রিজেন্সি থেকে ৯১ বোতল বিদেশি মদ এবং ৩৬৭ ক্যান বিয়ার। কিং ফিশার রেস্তোরাঁ থেকে ৬৭ বোতল বিদেশি মদ এবং ১৬ ক্যান বিয়ার।
এ অভিযানে এসব হোটেল ও রেস্তোরাঁয় থাকা মদ-মাদক মজুতের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস) তানভীর মমতাজ জানান, সরকার খ্রিষ্টীয় বর্ষবরণের দিন সব ধরনের পানশালা বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছিল। এই নির্দেশনা অমান্য করে হোটেলগুলোতে মদ মজুত রাখা হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এসব মদ বিক্রির উদ্দেশ্যে মজুত রাখা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
অধিদপ্তরের উদ্যোগে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ১,৫০৬টি বিশেষ অভিযান চালানো হয়। ৪২,০৪১টি ইয়াবা বড়ি, ৩৫ বোতল ফেনসিডিল, ৩৭৬ বোতল বিদেশি মদ, ৭০৯ ক্যান বিয়ার, ১,৯০৯টি টাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৬৫২.৭ লিটার চোলাই মদ, ৬৬ কেজি গাঁজা।৩৯৩ জন গ্রেপ্তার ও অভিযানে মাদক বিক্রির ২,৯৭,৩৯৭ টাকা জব্দ। সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযানে ৩৬৮টি মামলা দায়ের।
থার্টি ফার্স্ট নাইটে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ দেশজুড়ে মাদক ব্যবহার ও বাণিজ্য রোধে বড় ভূমিকা রেখেছে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার মাধ্যমে সরকারের মাদকবিরোধী প্রচেষ্টায় দৃঢ়তা প্রমাণিত হয়েছে।