দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ দাবানলের ঘটনা ঘটেছে, যা ২০টিরও বেশি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। গত ২২ মার্চ শনিবার, কর্তৃপক্ষের মতে, অন্তত তিনজন দমকলকর্মী এবং একজন সরকারি বনকর্মী মৃত্যুবরণ করেছেন।
সানচেং কাউন্টি, সিউল থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, গত ২১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া দাবানল দ্রুতভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। দমকলকর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু পাহাড়ি এলাকা এবং তীব্র বাতাসের কারণে আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। শনিবার সন্ধ্যায়, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ৫০০ হেক্টর এলাকা পুড়ে গেছে।
এখন পর্যন্ত ১,৬০০ দমকলকর্মী, ৩৫টি হেলিকপ্টার এবং বেশ কিছু যানবাহনকে আগুন নেভানোর কাজে মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, অত্যন্ত কঠিন পরিবেশের কারণে আগুনের মাত্র ৩৫ শতাংশই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দাবানলের কারণে ১৫টি গ্রামের ২০০ জনেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি চোই সাং-মোক সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে দ্রুত আগুন নেভানোর জন্য সমস্ত উপলব্ধ সরঞ্জাম এবং কর্মীদের একত্রিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধানত উত্তর ও দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশ এবং উলসান শহরকে দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, কোরিয়া বন পরিষেবা জানিয়েছে যে, মধ্য এবং দক্ষিণ প্রদেশের আরও কিছু এলাকা দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি, উত্তর ও দক্ষিণ গিয়ংসাং প্রদেশ, বুসান, এবং দাইজিয়নসহ ১২টি স্থানে 'গুরুতর' অগ্নিকাণ্ডের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আগুনের কারণে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু মহাসড়কের অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে উলসান এবং বুসানকে সংযুক্তকারী একটি মহাসড়কও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত দাবানলের বিস্তার এবং ক্ষতির পরিমাণ অত্যন্ত উদ্বেগজনক, এবং দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।