ঢাকার নবাবগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও লাইসেন্স নবায়নের কাগজপত্র না থাকায় পাঁচটি ইটভাটাকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অনিয়ম করে ইট পোড়ানোর দায়ে ৫৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান-উল ইসলামের নেতৃত্বে নবাবগঞ্জের রাজপাড়া সাহেব খালী ও ইসলামপুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে পাঁচটি ইটভাটায় নবায়নের কাগজপত্র না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা পাওয়া ইটভাটাগুলো হলো, বিবিসিকে ব্রিকস: ২০ লাখ টাকা, এনবিআই ব্রিকস: ২০ লাখ টাকা, জনতা ব্রিকস: ৫ লাখ টাকা, গোল্ড ব্রিকস: ৫ লাখ টাকা, জয়পাড়া ব্রিকস: ৪ লাখ টাকা।
অভিযানের সময় ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নবায়নের কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি ইট তৈরিতে ব্যবহৃত মাটির কোনো চালানও দেখাতে পারেনি ভাটাগুলো।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ান-উল ইসলাম বলেন, “এই এলাকার বেশির ভাগ ইটভাটা অনিয়ম করেই ইট পোড়াচ্ছে। পরিবেশ ও আইন মেনে না চললে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
নবাবগঞ্জ উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, “লাইসেন্স ও ছাড়পত্র নবায়নের জন্য আমরা আবেদন করেছি। আশা করছি, সরকার আমাদের আবেদন বিবেচনা করবে। তবে দ্রুত অনুমোদন না পেলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।”
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিলরুবা ইসলাম জানান, “পরিবেশ অধিদপ্তর নিজস্ব জনবল নিয়ে আইন অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব ভাটার কাগজপত্র নবায়ন না থাকায় এবং অন্যান্য অনিয়মের কারণে জরিমানা করা হয়েছে।”
নবাবগঞ্জে পরিবেশ ও আইনের তোয়াক্কা না করে পরিচালিত ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বন্ধ করা হয়েছে এবং ৫৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের এমন পদক্ষেপে এলাকার অন্য ইটভাটাগুলোর মালিকদের মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রশাসন জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযান নিয়মিত চালানো হবে।