ইসরায়েলের উগ্র ডানপন্থী জাতীয় মিশন ও বসতি স্থাপনবিষয়ক মন্ত্রী ওরিট স্ট্রুকের বিরুদ্ধে তার নিজের মেয়ে শোশানা স্ট্রুক গুরুতর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। শোশানা অভিযোগ করেছেন, তার বাবা, মা ও এক ভাই মিলে তাকে যৌনভাবে নির্যাতন করেছেন। একইসঙ্গে, তার তিন ছোট ভাইকেও শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগ এনেছেন।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি গ্লোবাল জানায়, শোশানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব ভয়ংকর অভিযোগ প্রকাশ করেন। তিনি ইতালিতে এ বিষয়ে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগও দায়ের করেছেন এবং ন্যায়বিচার দাবি করেছেন।
শোশানা বলেন, “দীর্ঘদিনের চরম মানসিক চাপ, অপরাধবোধ ও অনিশ্চয়তার পর অবশেষে আমি মুখ খুলতে পেরেছি। আমি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছি, এবং আমার তিন ভাইয়ের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।”
ওরিট স্ট্রুক একজন উগ্র ইহুদি বসতি স্থাপনপন্থী নেত্রী। তিনি হাঙ্গেরীয় একটি ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন এবং ধর্মীয় নেতা আব্রাহাম স্ট্রুককে বিয়ে করেন। ১৯৭৯ সালে মিশরের সঙ্গে চুক্তির পর তারা সিনাই উপদ্বীপ থেকে বিতাড়িত হয়ে হেবরনে অবৈধভাবে বসতি স্থাপন করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারদের বসতি স্থাপন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন এবং এর পক্ষে একটি এনজিওও পরিচালনা করেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি হেবরনের আভ্রাহাম আভিনু বসতিতে বসবাস করছেন।
২০০৭ সালে ওরিট স্ট্রুকের ছেলে জভিকি স্ট্রুকের বিরুদ্ধে একজন ফিলিস্তিনি নাবালককে অপহরণ ও নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া, ওরিট স্ট্রুক নিজেও প্রায়শই মিথ্যা ও প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্য আলোচনায় থাকেন। তিনি ৭ অক্টোবর হামলার সময় হামাসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন, যার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
শোশানা কেন ইতালিতে মামলা দায়ের করলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে তিনি নিরাপত্তা ও বিচারপ্রাপ্তির সুযোগ দেখেছেন।