পঞ্চগড়ে চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ জনজীবনে চরম স্থবিরতা সৃষ্টি করেছে। টানা ছয় দিন সূর্যের দেখা মিলছে না, এবং এর ফলে তাপমাত্রা তলানিতে পৌঁছেছে। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আগে কখনোই এমন নিম্ন পর্যায়ে পৌঁছায়নি।
সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে, বিশেষত নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। সূর্যের দেখা না পাওয়ায় একদিকে যেমন শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে, অন্যদিকে তেমনি তাপমাত্রার হ্রাসে কাজে যেতে বাধ্য হচ্ছে দিনমজুর, ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক ও চা শ্রমিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, বিশেষত সন্ধ্যার পর শিশির পড়ছে বৃষ্টির মতো, যা শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ জানান, গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। শনিবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই শৈত্যপ্রবাহের কারণে জনজীবন ও দৈনন্দিন কাজকর্মে বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে।
কঠিন শীতের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে চরম উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তাদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে, কারণ অধিকাংশই শীতের প্রকোপে অবাধ্য হতে পারছেন না। বিশেষত, যারা বাইরে কাজ করেন, তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এসব মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা ও প্রশাসনিক উদ্যোগ প্রয়োজন।
এ পরিস্থিতিতে শীতের তীব্রতা আরো বাড়লে জনজীবন আরও স্থবির হয়ে পড়বে, তাই দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম ও সহায়তা প্রদান জরুরি হয়ে উঠেছে।