পাঁচ বছর আগে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে হেরে গিয়েছিল আকবর আলীর বাংলাদেশ দল। সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে এবং প্রতিশোধ নিতে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বর্তমান যুবা টাইগাররা আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ভারতের। রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
যুব এশিয়া কাপের গত ১০ আসরে ভারত ৭ বার এককভাবে এবং একবার পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথভাবে শিরোপা জয় করেছে। ঐতিহ্যগতভাবে ভারত এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল। তবে ২০১৯ সালের ফাইনালে শিরোপা হাতছাড়া করলেও ২০২২ সালে মাহফুজুর রহমান রাব্বির নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। সেই আসরে সেমিফাইনালেই ভারতকে বিদায় করেছিল টাইগাররা।
বাংলাদেশ এবারের আসর শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছে। সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। অন্যদিকে, ভারত তাদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল। তবে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে বাংলাদেশ। টস জিতে শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রেখেছিল দলটি। অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ৪২ বলে ৬১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। এ পর্যন্ত চার ম্যাচে ২২৪ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি, যার মধ্যে একটি সেঞ্চুরি ও দুটি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।
ম্যাচ শেষে এক ভিডিও বার্তায় তামিম বলেন, “শুরু থেকে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। আমাদের বোলাররা অসাধারণ পারফর্ম করেছে। ইমন ও মারুফদের প্রচেষ্টায় আমরা পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রাখতে পেরেছি।”
ফাইনালকে সামনে রেখে আত্মবিশ্বাসী তামিম বলেন, “আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সেরা খেলাটা প্রদর্শন করার। মাঠে যতটা সম্ভব ভুল কমিয়ে আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে চাই। সবাই দোয়া করবেন, যাতে শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে পারি।”
ভারতকে ফাইনালে ফেবারিট ধরা হলেও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশ আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। বিশেষ করে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাওয়া দাপুটে জয়ে দলের মনোবল আরও দৃঢ় হয়েছে।
ফাইনালে ফের বাংলাদেশের সামনে রয়েছে ইতিহাস বদলানোর সুবর্ণ সুযোগ। ২০১৯ সালের পরাজয়ের দুঃখ ভুলতে এবং নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণে রোববারের ম্যাচটি হতে পারে টাইগারদের জন্য একটি মাইলফলক।