বগুড়ার কাহালু উপজেলায় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবা, তার শিশুকন্যা এবং ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের দরগাহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন কাহালু উপজেলার মুরইল ইউনিয়নের ভাগ দুবড়া গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন আকন্দ (৩০), তার ৯ বছরের মেয়ে হুমায়রা এবং নারহট্র ইউনিয়নের বুড়ইল গ্রামের ভ্যানচালক শাহিনুর ইসলাম (৪২)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে কাহালু থানার ওসি মো. শাহীনুজ্জামান জানান, ফারুক তার মেয়েকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে ভ্যানে করে যাচ্ছিলেন। দরগাহাট এলাকায় চলন্ত ভ্যানের পেছনের চাকার এক্সেল ভেঙে গেলে চালকসহ যাত্রীরা সড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়।
আহত অবস্থায় তিনজনকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা প্রথমে ফারুক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হুমায়রা ও ভ্যানচালক শাহিনুর। নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
একইদিন সকাল ৮টায় বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় আরও একটি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন রেশমী খাতুন (২৫)। তিনি গাবতলীর বালিয়াদিঘীর কালাইহাটা গ্রামের জোবায়ের হোসেনের স্ত্রী।
গাবতলী মডেল থানার ওসি আশিক ইকবাল জানান, জোবায়ের তার স্ত্রী রেশমীকে মোটরসাইকেলে নিয়ে সোনাতলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে সুখানপুকুর এলাকায় অসাবধানতাবশত রেশমী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান। তখন পেছন থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রাক তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
একদিনে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয়রা শোকাহত। তারা মহাসড়কে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ এবং সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। তবে কোনো মামলা দায়েরের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
এই দুটি দুর্ঘটনা আবারও দেখিয়ে দেয় যে সড়ক নিরাপত্তা এবং যানবাহনের রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে আরও সচেতন হতে হবে যেন এমন মর্মান্তিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।