সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে প্রতিশ্রুতিশীল শুরু করেও জয় হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ২৯৮ রানের স্কোরও যথেষ্ট হলো না, ৪৭.৪ ওভারেই ৫ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল।
বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে করে ২৯৮ রান। একসময় মনে হচ্ছিল, স্কোর সাড়ে তিন শ’র ঘর স্পর্শ করবে। কিন্তু ১৫৫টি ডট বল খেলে দল আটকে যায় তিন শ’র নিচেই।
ওয়ার্নার পার্কে ক্যারিবীয়দের হয়ে শেরফানে রাদারফোর্ড দারুণ ইনিংস খেলেন। ৮০ বলে ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংস তার ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। জুটি বেঁধে তিনি ও শাই হোপ সহজেই দলকে জয় এনে দেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ম্যাচ শেষে জানান, তিনি দলের স্কোরে সন্তুষ্ট। তবে বোলারদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মিরাজ বলেন, "এমন পিচে ২৯৮ ভালো স্কোর। তবে হোপ ও রাদারফোর্ড দারুণ জুটি গড়েছে। বোলারদের জন্য দিনটি খুব কঠিন ছিল।"
তাসকিন, নাহিদ, ও তানজিমের ভালো শুরুর প্রশংসা করলেও মাঝের ওভারগুলোয় উইকেট নিতে না পারা দলের জন্য সমস্যার কারণ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
হারের পর মিরাজ পুরনো কথাই পুনরায় উল্লেখ করেছেন—ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী ম্যাচে আরও ভালো করার চেষ্টা করবে দল। তিনি বলেন, "আমরা কিছু ভুল করেছি, সেগুলো থেকে শিখব। সামনে এখনও দুটি ম্যাচ আছে, ভালো করার সুযোগ আছে।"
বাংলাদেশের পরাজয়ের মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে— ডট বলের আধিক্য: ১৫৫টি ডট বল ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটিয়েছে, বোলারদের ব্যর্থতা: বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট নিতে না পারা দলের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ক্যারিবীয়দের পারফরম্যান্স: রাদারফোর্ডের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি এবং হোপের স্থির ইনিংস বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়।
বাংলাদেশের সামনে এখনও সিরিজ জয়ের সুযোগ আছে, তবে বোলিং এবং ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি প্রয়োজন।