বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন নিয়ে সম্প্রতি উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করার একদিন পর, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. নূরুল ইসলামকে পাল্টা তলব করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবরণী অনুযায়ী, ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে সীমান্তে বেড়া স্থাপনসহ নিরাপত্তাব্যবস্থায় দুই দেশ এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মধ্যে বিদ্যমান সব ধরনের প্রটোকল ও চুক্তি মেনে কাজ করা হচ্ছে। ভারত তাদের চূড়ান্ত উদ্দেশ্য হিসেবে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার কথা উল্লেখ করেছে, এবং এই প্রক্রিয়া চলাকালে চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল এবং পাচারের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভারত জানায়, সীমান্তের নিরাপত্তা বাড়াতে কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে আলোকসজ্জা, প্রযুক্তিগত ডিভাইস ও গবাদি পশুর চলাচল রোধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তারা আশাবাদী যে, বাংলাদেশ সরকার তাদের সঙ্গে করা আগের সমঝোতা বাস্তবায়ন করবে এবং সীমান্ত অপরাধ মোকাবেলায় সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রহণ করবে।
এদিকে, গত রবিবার, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার কাছে সীমান্তে বিএসএফের সাম্প্রতিক কার্যক্রম নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এই ধরনের কার্যক্রম, বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফের কার্যক্রম, সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষতি করছে।
এই ঘটনায় সীমান্ত পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, এবং দুই দেশের মধ্যকার সহযোগিতা ও সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।