ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) হলো একটি দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসজনিত রোগ যা বিশ্বব্যাপী একটি বড় ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। বর্তমানে বিশ্বের ৩৮৪ মিলিয়ন মানুষ সিওপিডিতে আক্রান্ত, যার মধ্যে বাংলাদেশেই ৬৫ লাখ মানুষ এই রোগে ভুগছে।
বিশ্ব সিওপিডি দিবস উপলক্ষে সোমবার দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের আয়োজনে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এ. কে. এম ফাহমিদ নোমান। তিনি বলেন, "তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে সিওপিডির প্রভাব তুলনামূলক বেশি। ধূমপান, পরিবেশ দূষণ এবং কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য এই রোগের প্রধান কারণ।"
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার। তিনি বলেন, "ধূমপান, বায়ু দূষণ এবং অভ্যন্তরীণ ধোঁয়া সিওপিডি বাড়িয়ে তুলছে। নগরায়ন এবং পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও সিওপিডি রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফুসফুসকে ভালো রাখতে ধূমপান থেকে বিরত থাকা, গাছ লাগানো এবং সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।"
সেমিনারে জানানো হয়, প্রতি বছর বিশ্বে সিওপিডির কারণে ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা যায়। যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মো. গোলাম সারোয়ার বিদ্যুৎ এবং ডা. মো. জিয়াউল করিম। তারা সবাই সিওপিডি মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সচেতনতা এবং পরিবেশ সুরক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ফুসফুসের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন দূষণমুক্ত পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা। তারা ধূমপান বর্জন, পরিবেশে গাছের পরিমাণ বাড়ানো এবং কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। এছাড়া, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কলকারখানার বর্জ্য নিয়ন্ত্রণের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।