গাজীপুরের বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকদের টানা ছয় দিনের আন্দোলন শেষে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁদের বেতন প্রদান করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকেরা তাঁদের অবরোধ প্রত্যাহার করেন। একইভাবে, জিরানী এলাকার হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের দাবিও মেনে নেওয়া হয়েছে, যার ফলে তাঁরাও দুপুরের পর সড়ক ছেড়ে দেন।
গত শনিবার থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রায় ৪০ হাজার শ্রমিক। তাঁদের দাবির মূল কারণ ছিল অক্টোবর মাসের বেতন বাকি।
আজ সকাল ৯টা থেকে শ্রমিকেরা গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকায় অবস্থান নেন। এতে সড়কজুড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের ভোগান্তি বাড়িয়ে তোলে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে শ্রমিকদের মুঠোফোনে বেতন প্রেরণ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। বেতন পাওয়ার পর রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ শ্রমিকেরা তাঁদের অবরোধ প্রত্যাহার করেন। অবরোধ প্রত্যাহারের ফলে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
জিরানী এলাকার হা-মীম গ্রুপের দ্যাটস ইট নিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ১২ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কারখানার মালিকপক্ষ, শ্রমিক, সেনাবাহিনী ও পুলিশের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে দেন। এতে বিকেলের পর থেকে জিরানী এলাকার সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
গাজীপুর শিল্পাঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান জানান, সন্ধ্যার পর শ্রমিকদের বেতন দেওয়া শুরু হয়। বেতন প্রাপ্তির পর শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ছেড়ে দেন।
বেতন ও অন্যান্য দাবির দ্রুত সমাধান শ্রমিকদের আন্দোলন প্রশমনে ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। তবে শিল্পাঞ্চলের এ ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়া থেকে রোধ করতে মালিকপক্ষের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।