থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে প্রথমবারের মতো দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠককে “ফলপ্রসু” বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, "বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে, সবগুলো বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা প্রতিটি বিষয়ে স্পষ্টভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।"
বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য: সীমান্ত হত্যা: এই স্পর্শকাতর ইস্যুটি বৈঠকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচিত হয়। গঙ্গার পানি বণ্টন ও তিস্তা চুক্তি: দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত এই দুইটি চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ: শফিকুল আলম জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। উসকানিমূলক মন্তব্য: তিনি আরও জানান, “শেখ হাসিনা ব্যাংককে বসে যে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিও আলোচনায় স্থান পেয়েছে।”
গত ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কিছুটা টানাপোড়েনের মধ্যে পড়ে। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের এই সরাসরি আলোচনা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
বৈঠকটি ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতা কুশল বিনিময় করেন এবং একসাথে কিছু সময় কাটান।