যশোরের মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্লার্ক শাহীন আলমকে মারধরের প্রতিবাদে উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মানববন্ধন করেছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তভোগী শাহীন আলমের অভিযোগ, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ইউএনও কার্যালয়ের সামনে শহীদ মিনারের কাছে তাঁকে মারধর করা হয়। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মোতাহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে। শাহীন আলম জানান, অফিস সহকারী সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলার সময় সাইফুলের মুঠোফোনে মোতাহারুল ইসলামের ফোন আসে। ফোনে কথা বলার একপর্যায়ে মোতাহারুল তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। ফোন ধরার পরপরই তিনি গালমন্দ ও হুমকি দিতে থাকেন এবং তাঁর অবস্থান জানতে চান। শাহীন আলম তাঁর অবস্থান জানানোর পর কিছুক্ষণ পরই মোতাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন এসে তাঁকে ঘিরে ধরেন। রিপন সরদার নামের একজন তাঁর মাথায় থাপ্পড় মারেন, অন্যরা ধাক্কাধাক্কি করেন। পরে বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মিন্টুর সঙ্গে ফোনে কথা বলার পর তাঁরা চলে যান।
ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ইউএনও নিশাত তামান্না, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়াজ মাখদুমসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। ইউএনও নিশাত তামান্না বলেন, ‘আমরা সরকারি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য হয়রানিমুক্ত সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ দাবি করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো মামলায় যাইনি। ডিসি স্যারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আশা করছি, দ্রুত একটি সিদ্ধান্ত আসবে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা মোতাহারুল ইসলাম বলেন, ‘শাহীন আলমের সঙ্গে আমার কোনো কথাই হয়নি। তাঁর অভিযোগ সম্পূর্ণ মনগড়া।’ তবে শাহীন আলমকে মারধরের অভিযোগে মণিরামপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রিপন সরদারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. কামরুল গাজী ও সদস্যসচিব মো. মাসুদ গাজী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে এ বহিষ্কারাদেশ জানানো হয়।