ঢাকা যাত্রাবাড়ী থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এছাড়া, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ ও শিল্পবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। দুটি হত্যা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, যিনি বর্তমানে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, তারও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি, ওমর ফারুক ফারুকী, বিষয়টি জানিয়ে বলেন যে, আদালতে যখন শুনানি চলছিল, তখন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা দীপু মনি একটি চিঠি লিখে হস্তান্তর করেছিলেন। জনাকীর্ণ আদালতে এই বিষয়টি তার নজরে আসেনি।
এদিকে, দীপু মনি ওই চিঠি আইনজীবীর পোশাক পরা এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। চিঠির ছবি তোলার পর, ওই ব্যক্তি টিস্যু পেপারের ওপর লেখা চিঠি ভাঁজ করে রাখেন। তবে, দীপু মনি এবং সালমান এফ রহমানের হাসিমুখে কথোপকথনও কোর্টের নজরে আসে।
এ ঘটনার পর আদালত বলেন, কোনও আসামি আদালতের অনুমতি ছাড়া এমন আচরণ করতে পারেন না। একদিকে, দীপু মনির আইনজীবী গাজী ফয়সাল ইসলাম জানিয়েছেন, আদালতের ব্যস্ত পরিবেশে তিনি মক্কেলের ওই চিঠি লেখার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, আদালত সিদ্ধান্ত নেয় যে, দীপু মনি এবং অন্য গ্রেপ্তারকৃতদের যাত্রাবাড়ী থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হবে।
এই ঘটনার মাধ্যমে একটি বড় ধরনের রাজনৈতিক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে।