যুক্তরাষ্ট্র যদি ইরানে আক্রমণ চালায়, তবে তেহরান পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখাতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) শীর্ষ নৌ কমান্ডার আলিরেজা তাংসিরি। শনিবার (২৯ মার্চ) আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমাদের সকল শত্রুঘাঁটিতে আঘাত করার সক্ষমতা রয়েছে, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। এমনকি যদি আমাদের মেক্সিকো উপসাগরে শত্রুদের তাড়া করতে হয়, তাও করা হবে।"
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে পুনরায় আলোচনা শুরুর জন্য দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। তবে ইরান বারবার জানিয়েছে, তারা কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না। ইরানি কমান্ডার তাংসিরি বলেন, "ট্রাম্পের হুমকি শুনি, তার কর্মকাণ্ড লক্ষ্য করি এবং তাদের মোকাবিলার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করি।"
তাংসিরি বলেন, "আমরা কখনও আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র বা প্রতিরোধ ফ্রন্টের সক্ষমতা নিয়ে আলোচনা করব না। ইরান তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায় এবং মুসলিম দেশগুলোর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করতে চায় না।"
ট্রাম্প বলেন, "আমাদের হয় কথা বলে সমাধান করতে হবে, নইলে ইরানের সঙ্গে খুব খারাপ কিছু ঘটবে।" তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি চিঠিটিকে হুমকিস্বরূপ মনে করলেও এটিতে তেহরানের জন্য 'কিছু সুযোগ' রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।
২০১৫ সালে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া ও অন্যান্য বিশ্বশক্তির মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেখানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল। তবে ২০১৮ সালে ট্রাম্প একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং একে "ভয়ঙ্কর একতরফা চুক্তি" বলে অভিহিত করেন।
বর্তমান অচলাবস্থা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে, তবে ইরান পরোক্ষ আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। তেহরান জানিয়েছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।