বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) তার অফিসে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতকে পাঠানো বাংলাদেশের নোট ভারবালের প্রেক্ষিতে ভারত সরকারের উত্তর কেমন হবে, তা আগামী দিনের বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে পাঠানো নোট ভারবালের প্রেক্ষিতে ভারতের উত্তরের জন্য নির্ধারিত একটি স্বাভাবিক সময় পর্যন্ত বাংলাদেশ অপেক্ষা করবে।"
যদি এই সময়সীমার মধ্যে ভারত সরকারের কাছ থেকে উত্তর না পাওয়া যায়, তবে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে তাগিদপত্র (reminder letter) পাঠাবে, যা ভারতীয় পক্ষকে দ্রুত উত্তর দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।
এছাড়া, স্বাভাবিক সময়ের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, "এটা নির্ভর করে যে কোন বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আমাদের যে বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছে, সেটি অত্যন্ত সংবেদনশীল, এবং এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "কখনো কখনো এমন sensitive বিষয় নিয়ে আলোচনা বছরের পর বছর পর্যন্ত চলে যেতে পারে।"
এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, ভারতের জবাবের উপর ভিত্তি করে বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক কৌশল এবং পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবে। তবে এটি যে একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং জটিল প্রক্রিয়া হতে পারে, তা সরকারের মুখপাত্রের মন্তব্য থেকে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের জন্য এই ইস্যু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল, যা কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। ভারত সরকারের সময়োপযোগী এবং স্পষ্ট উত্তর আশা করছে বাংলাদেশ, এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে