ভারতের শিবসেনা দলের সংসদ সদস্য (এমপি) সঞ্জয় রাউত বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার এক বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। সঞ্জয় রাউত বলেন, বাংলাদেশিদের বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনার মাধ্যমে। একইসঙ্গে তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেন।
মুম্বাই পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বলিউড তারকা সাইফ আলি খানের ওপর হামলাকারী সন্দেহভাজন মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম শেহজাদ একজন বাংলাদেশি। পুলিশ জানিয়েছে, শেহজাদ বাংলাদেশের ঝালকাঠির বাসিন্দা। তিনি চুরির উদ্দেশ্যে সাইফ আলি খানের বাসভবনে প্রবেশ করে এবং সেখানে অভিনেতাকে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনায় সাইফ আলি খান মারাত্মক আহত হন। শেহজাদকে আটক করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে।
সঞ্জয় রাউত ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে বলেন, “যদি হামলাকারী সত্যিই বাংলাদেশি হন, তাহলে এর দায় সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের। এ কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “সব বাংলাদেশিকে ভারত থেকে বের করে দেওয়া উচিত এবং এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত শেখ হাসিনার মাধ্যমে।” “বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে কথা বলতে গেলে বিজেপি বাধা দেয় এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের যুক্তি দেখায়।”
সঞ্জয় রাউত অভিযোগ করেন যে বিজেপি সাইফ আলি খান এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে দ্বৈত মানসিকতা প্রদর্শন করছে। তিনি বলেন, “১০ দিন আগে বিজেপি সাইফ আলি খানের বিরুদ্ধে লাভ জিহাদের অভিযোগ করেছিল। এখন তারা সাইফ আলি খানকে নিয়ে উদ্বিগ্ন।”
সঞ্জয় রাউত মন্তব্য করেন যে বিজেপি মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল নির্বাচনকে সামনে রেখে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এসব ইস্যু উত্থাপন করছে। তিনি বলেন, “বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এসব অভিযোগ তুলছে।”
সাইফ আলি খান হামলার ঘটনা এবং শিবসেনার এই বক্তব্য ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এবং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। সঞ্জয় রাউতের মন্তব্য ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।