সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবং দরপত্র সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকার শতভাগ ই-টেন্ডার কার্যক্রম চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে সরকারি দপ্তরে কেনাকাটা ও যাবতীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে সম্পাদিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এই তথ্য জানান। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: নারী ও শিশু নির্যাতন আইন সংশোধন, পরিত্যক্ত বাড়ির নামজারি প্রক্রিয়া সহজ করা, ঈদের ছুটি বাড়ানো।
প্রেস সচিব জানান, বর্তমানে সরকারি দপ্তরে ৬৫ শতাংশ দরপত্র ই-টেন্ডারের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তবে আগামীতে সকল দরপত্র শতভাগ ই-টেন্ডারের আওতায় আনতে প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট সংশোধন করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে সরকারি দপ্তরগুলোর কার্যক্রম ও কর্মরত ব্যক্তিদের সম্পর্কে তথ্য চেয়েছেন, যাতে ক্রয় প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়।
প্রেস সচিব আরও বলেন, "শতভাগ ই-টেন্ডার ব্যবস্থা চালু হলে দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে এবং দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না। এ কারণেই সরকার দ্রুততম সময়ে এই কার্যক্রম চালু করতে উদ্যোগ নিয়েছে।"
এই পদক্ষেপের ফলে সরকারি কেনাকাটা ও প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়া নিশ্চিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।