বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অনুমোদিত মোট ১৪ হাজার ফিটনেসবিহীন বাস ও ট্রাক সারা দেশে চলাচল করছে। তবে আগামী মে মাস থেকে এসব যানবাহন সড়কে আর চলতে দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বিআরটিএ। বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিএ বিভাগীয় কার্যালয়ের ভিআইসি সেন্টারে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন সভায় বলেন, ‘রাজধানীর বাসগুলোর অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী মে মাস থেকে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস বা ট্রাক সড়কে চলতে পারবে না। মালিক পক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ম্যাজিস্ট্রেটদের অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনাও রয়েছে।’
তিনি আরও জানান, নতুন বাস আনতে মালিকরা সহজ শর্তে ঋণ চেয়েছেন। বিআরটিএ এই অনুরোধ সরকারের কাছে পৌঁছেছে এবং সহজ শর্তে ঋণের সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া বাস ড্রাইভার ও কন্ট্রাক্টরদের জন্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুর কথাও জানান তিনি।
বিআরটিএ পরিচালক শিতাংশু শেখর জানান, স্বাধীনতার পর থেকে সব নিবন্ধিত যানবাহনের ডাটা বিআরটিএ সার্ভারে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে সারা দেশে বিআরটিএর অনুমোদিত প্রায় ১৪ হাজার বাস ও ট্রাক আয়ুষ্কাল অতিক্রম করেছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহির আল লতিফ বলেন, ‘ঢাকার পরিবহন ব্যবস্থার অবস্থা খুবই খারাপ। তবে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে এ ব্যবস্থায় দৃশ্যমান উন্নতি দেখা যাবে।’
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আবদুর রহিম দুদু বলেন, ‘দেশের ড্রাইভারদের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দেওয়া হয়নি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পাঠ্যবইয়ে সতর্কতামূলক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। এছাড়া সড়কের বামের লেন পরিষ্কার রাখতে পুলিশকে অনুরোধ করা হলেও তাদের কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি।’