সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজওনাল কোঅপারেশন (সার্ক)-কে পুনরায় সক্রিয় করার জন্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর রিজওনাল কোঅপারেশন অনকোলজির (এসএফও) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে এই আহ্বান জানান তিনি।
যমুনা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যুক্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সার্ক আমার কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই সার্ককে সক্রিয় করার বিষয়ে বলেছি। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কিছু ইস্যুর জন্য সার্ক কার্যকর হচ্ছে না। আমি মনে করি, দুই দেশের সমস্যা অন্য দেশগুলোর অগ্রগতিতে বাধা হওয়া উচিত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার নেতারা প্রতি বছর একসঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এবং বিশ্বের কাছে একসঙ্গে থাকার বার্তা পাঠালে, এটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
বৈঠককালে ড. ইউনূস ক্যানসার চিকিৎসায় সার্কের উদ্যোগকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ক্যানসার চিকিৎসায় যে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন, তা আমরা এখনো পুরোপুরি পাচ্ছি না। সার্ক এই খাতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের উপকারে আসবে।”
প্রধান উপদেষ্টা ক্যানসার চিকিৎসায় সার্ক ফেডারেশন অব অঙ্কোলজিস্টসের (এসএফও) প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. এবিএমএফ করিমের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তার সঙ্গে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আরও স্মরণ করেন তার ছোট ভাই, সাংবাদিক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ক্যানসার চিকিৎসার অভিজ্ঞতা। ড. করিমের সহযোগিতায় তাদের পরিবার কীভাবে সাহায্য পেয়েছিল, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো সার্ককে সক্রিয় করলে সবাই লাভবান হবে। এ উদ্যোগ গোটা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনবে এবং বিশ্বের কাছে দক্ষিণ এশিয়াকে ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করবে।”
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি একসঙ্গে কাজ করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে। সার্ককে কার্যকর করার মাধ্যমে ক্যানসার চিকিৎসা এবং অন্যান্য আঞ্চলিক সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।