নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের একরামপুর সিএসডি এলাকায় সরকারি খাল দখল করে পাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আসমা বেগম ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। যদিও আসমা বেগম দাবি করেছেন, জায়গাটি সরকারি খাল নয় বরং তাদের নিজস্ব জমি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের একরামপুর সিএসডি এলাকায় একটি সরকারি খালের জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় জিল্লুর রহমানের বোন আসমা বেগম খালটি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন।
এ বিষয়ে জিল্লুর রহমানের ভাই পারভেজ জানান, "এটি কোনো সরকারি খাল নয়। এটি আমাদের নিজস্ব জমি। দীর্ঘ ২১ বছর ধরে এ জমি নিয়ে মামলা চলছিল। আদালত আমাদের পক্ষে রায় দিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়েছে। এখানে তিন বোনের ওয়ারিশ জায়গা রয়েছে, যা আমরা তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া পানি চলাচলের ব্যবস্থা আগের মতোই রয়েছে। যদি সরকার জায়গা দাবি করে, আমরা তা ছেড়ে দেব।"
পাকা ভবন নির্মাণকারী আসমা বেগম বলেন, "আমরা আমাদের নিজস্ব জমিতে বাড়ি নির্মাণ করছি। যদি প্রমাণিত হয় এটি সরকারি জমি, সরকার চাইলে আমরা জায়গা ছেড়ে দেব।"
অন্যদিকে, স্থানীয় লোকজনের দাবি এটি আসলেই সরকারি খাল। এক সময় এ খাল দিয়ে নৌকা চলত এবং জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ক্রমাগত দখল ও দূষণের কারণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "এখন খালের জায়গা দখল করে রাতারাতি পাকা ঘর এবং দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। আগে এই খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হতো, যা এখন প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে।"
বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তফিজুর রহমান জানান, "সরকারি খাল দখলের অভিযোগ গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে লোক পাঠানো হবে।"
বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের আড়ালে এভাবে খাল দখল দেশের জলাধার ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ এবং জনসচেতনতা ছাড়া খাল দখলমুক্ত রাখা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে।