সিলেট নগরের এক নারীকে ধর্ষণ এবং সেই ঘটনা ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত সোমবার বিকেলে ঘটনার পর পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে। পরদিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নারী কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে জানা গেছে, ভুক্তভোগী নারী (২৮) সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা, এবং তার স্বামী একটি বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পে কাজ করতেন। প্রকল্পে অংশীদার মো. সামরান হোসেন চৌধুরী (রাজু) এবং সিলেট সদর এলাকার মো. মাহফুজুর রহমান নামক দুই ব্যক্তি, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। মাহফুজুর প্রায়ই ওই নারীর বাসায় যাতায়াত করতেন এবং ২৭ ডিসেম্বর থেকে একাধিকবার ওই নারীকে ধর্ষণ করেন।
অভিযুক্ত সামরান হোসেন চৌধুরী মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন এবং পরে সেই ভিডিও ও ছবি ব্যবহার করে ওই নারীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। একাধিকবার অস্বীকার করায় তিনি নারী ও তার স্বামীকে ভয় দেখান। অবশেষে ৬ জানুয়ারি বেলা তিনটায় অভিযুক্তরা ওই নারীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার চেষ্টা করেন। এতে নারীর স্বামী ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে জানালে, পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে এবং অভিযুক্তদের আটক করে।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী দাবি করেছেন যে, ১৩ ডিসেম্বর রাতে আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ অপহৃত হয়েছিলেন এবং এই অপহরণকারীদের সঙ্গে অভিযুক্তদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। তার অভিযোগ, অপহরণকারীরা তার স্ত্রীর ধর্ষণও করেছে এবং পরে তাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য ওই ভিডিও ধারণ করেছেন।
সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউল হক জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং সেই অনুযায়ী মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে, স্বামীর অভিযোগ সম্পর্কে পুলিশ জানে না, তবে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত তথ্য যাচাই করা হবে।
এদিকে, ১৩ ডিসেম্বর রাতে অপহৃত আওয়ামী লীগ নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন, এবং পুলিশ জানিয়েছে, মিসবাহের পরিবার এখনও এই ঘটনার কোনো তথ্য প্রদান করেনি।
এ ঘটনার তদন্ত চলছে, এবং পুলিশ সঠিক তথ্য যাচাই করতে কাজ করছে।