সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার চিনাকান্দি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাইদুল ইসলাম (২৪) নামে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাইদুল ইসলাম সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের গামাইরতলা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম জয়নাল আবেদীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সুপারি নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সীমান্তের কড়াইগড়া এলাকায় বিএসএফের গুলিতে সাইদুল গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শফিকুর ইসলাম জানান, সাইদুল ইসলামের পেটে গুলি লেগেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর বিস্তারিত কারণ জানা যাবে।
স্থানীয় কয়েকজন জানিয়েছেন, সীমান্ত দিয়ে সুপারি চোরাচালানের সময় সাইদুলের সঙ্গে বিএসএফ সদস্যদের কথা-কাটাকাটি হয়। এরপরই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। তবে বিজিবি এখনো নিশ্চিত করেনি যে সাইদুল বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
সুনামগঞ্জে বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির জানিয়েছেন, সাইদুল ইসলাম বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে সুপারি চোরাচালানের উদ্দেশ্যে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে জানা গেছে, সেখানে বিএসএফ গুলি চালায়। তবে বিজিবি ঘটনাটি নিশ্চিত করতে পারেনি।
প্রকৃত ঘটনা জানতে সীমান্তের মাছিমপুর বিজিবি বিওপি ও ভারতের কড়াইগড়া বিএসএফ ক্যাম্পের মধ্যে একটি পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পতাকা বৈঠকের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে যে কী ঘটেছিল এবং কীভাবে সাইদুলের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় আগেও বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর বিএসএফের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে চোরাচালান বন্ধ এবং নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঠেকাতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কার্যকর সমন্বয় জরুরি বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।