সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনাল দেখতে গিয়ে মারাত্মক হয়রানির শিকার হয়েছেন মায়োর্কার ফুটবলারদের পরিবারের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার জেদ্দায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৩-০ গোলে হারে মায়োর্কা। তবে ম্যাচ শেষে মায়োর্কার দুই খেলোয়াড়ের স্ত্রীরা অভিযোগ করেছেন, স্থানীয় কিছু সমর্থক তাদের উত্ত্যক্ত করেছে এবং প্রায় ২৫০ জন নারী এই ঘটনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মায়োর্কার মিডফিল্ডার দানি রদ্রিগেজের স্ত্রী ক্রিস্টিনা পালভারা স্পেনের টিভি সাংবাদিকের কাছে বলেন, "স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়া ছিল অত্যন্ত জটিল, কারণ আমাদের সাথে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। কিছু পুরুষ আমাদের কাছ থেকে ছবি তুলতে শুরু করেছিল এবং আমাদের হয়রানি করেছে।" এছাড়া, গোলকিপার ডমিনিক গ্রিফের স্ত্রী নাতালির সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে তার পরিবারের সদস্যরা বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পালভারা আরও জানান, তার মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং এই পরিস্থিতি তাদের জন্য অত্যন্ত অস্বস্তিকর ছিল।
গ্রিফের স্ত্রী নাতালিয়া কালুজোভা স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কারকে জানিয়েছেন, "কিছু পুরুষ আমাদের ভিডিও করেছে, ধাক্কা দিয়েছে, অযাচিতভাবে ছুঁয়েছে এবং আমাদের মুখের ওপর ফোন ধরেছে।" এই ঘটনার পর মায়োর্কার ক্লাবের অফিশিয়ালরা জানিয়েছে, স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার সময় প্রায় ২৫০ জন নারী সমর্থক এই ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।
একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে মার্কা, যেখানে দেখা যায়, মায়োর্কার সমর্থকরা যখন চার্টার্ড বাসে ওঠার সময়, রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি পরা কিছু পুরুষ সমর্থক তাদের ভিডিও করছে এবং হাসাহাসি করছে। মায়োর্কার ক্লাবের কর্মকর্তারা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে এই ঘটনার অভিযোগ করেছেন এবং তাদের আশ্বাসে জানিয়েছেন যে, এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে আর হবে না।
মায়োর্কার মিডফিল্ডার সের্হি দারদেরের বাবা কিকে দারদের এই পরিস্থিতিকে ‘অবরোধ’-এর সাথে তুলনা করেছেন, যা নারী সমর্থকদের জন্য ছিল অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং অগ্রহণযোগ্য। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজকদের এ ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না।
এই ঘটনার মাধ্যমে ফুটবল বিশ্বে আবারও নারী সমর্থকদের প্রতি অবিচারের প্রশ্ন উঠেছে এবং এর প্রতিকার হতে হবে যেন ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন না হতে হয়।