গাজা উপত্যকার চলমান সংঘাত নিরসনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেশ করেছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম Ynet সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাবে প্রথম সপ্তাহেই দুই দফায় মোট ১০ জন জিম্মি মুক্তি এবং ১৮ জন নিহত ইসরায়েলি জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে।
৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি, যেখানে প্রথম সপ্তাহে যুদ্ধপক্ষগুলো আলাদা দুটি পর্যায়ে জিম্মি বিনিময় করবে। হামাসকে ১৮ জন নিহত জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেবে পূর্বে নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠানো হবে। এই সময়ের মধ্যেই গাজায় চূড়ান্ত যুদ্ধসমাপ্তির লক্ষ্যে শান্তি আলোচনা হবে। চুক্তি না হলে কী ঘটবে?
যদি ৬০ দিনের মধ্যে হামাস ও ইসরায়েল চূড়ান্ত সমঝোতায় না পৌঁছায়, তবে ইসরায়েল গাজায় আবারও সামরিক অভিযান শুরু করতে পারে। তবে অতিরিক্ত জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগও থাকবে।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি গত ২৫ মে বলেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা অচলাবস্থায় রয়েছে।
তিনি জানান, ইসরায়েল কেবলমাত্র জিম্মি মুক্তিতে আগ্রহী, কিন্তু হামাস সম্পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতেই জোর দিচ্ছে।
এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র একটি “নতুন টার্মশিট” উভয় পক্ষকে পাঠানোর পরিকল্পনা করে।
২৯ মে, বৃহস্পতিবার, ইসরায়েল সরকার মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পেয়েছে।
তবে এখনো নেতানিয়াহুর প্রশাসন আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি।
স্টিভ উইটকফ আগেই সাংবাদিকদের জানান, “যুক্তরাষ্ট্র গাজা সংকট সমাধানে মানবিক ও কূটনৈতিক উভয় দিকেই কাজ করছে।”
গাজা উপত্যকার চলমান সংঘাতের মধ্যে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নতুন আশার আলো হয়ে এসেছে। মানবিক সহায়তা, জিম্মি বিনিময় এবং যুদ্ধ থামানোর উদ্যোগ—সব কিছুই এই পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত। এখন দেখার বিষয়, ইসরায়েল ও হামাস এই প্রস্তাবে কী প্রতিক্রিয়া জানায় এবং কূটনৈতিক অগ্রগতি কতদূর এগোয়।