জাপানে একটি টুনা মাছ বিক্রি হয়েছে ১৩ লাখ ডলারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসেবে)। এটি নববর্ষের নিলামে বিক্রি হওয়া টুনা মাছের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম।
এটি টোকিওর প্রধান মাছের বাজারে অনুষ্ঠিত হয় রোববার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫, এবং মাছটির দাম কেমন রেকর্ড তৈরি করেছে তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোচনা চলছে।
নিলামে বিক্রি হওয়া মাছটির ওজন ছিল ২৭৬ কিলোগ্রাম (৬০৮ পাউন্ড), যা প্রায় একটি মোটরবাইকের সমান আকারে ছিল। এটি ছিল ব্লুফিন টুনা, যা অত্যন্ত মূল্যবান এবং সুশি রেস্তোরাঁর জনপ্রিয় মাছ।
ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওনোদেরা গ্রুপ, যারা মিশেলিন তারকা প্রাপ্ত সুশি রেস্তোরাঁ পরিচালনা করে, তারা এই মাছটির জন্য ২০ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন (১৩ লাখ ডলার) পরিশোধ করেছে।
এই ১৩ লাখ ডলার দামের টুনা বিক্রি হয়েছে, যা ছিল টুনার নিলামে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দাম। এর আগে ২০১৯ সালে ৩৩ কোটি ৩৬ লাখ ইয়েন (প্রায় ৩২ লাখ ডলার) দামে একটি টুনা মাছ বিক্রি হয়েছিল। তখন ‘টুনা কিং’ হিসেবে পরিচিত কিয়োশো কিমুরা এই দামে মাছটি কিনেছিলেন।
টোকিওর সুকিজি বাজার ১৯৯৯ সালে নিলামের তথ্য সংগ্রহ শুরু করার পর, এখনকার টয়োসু বাজারে সবচেয়ে দামী টুনার বিক্রি হয় ২০১৯ সালে। বর্তমানে এখানে আধুনিক সুযোগ-সুবিধার সাথে টুনা মাছের নিলাম চলছে।
ওনোদেরা গ্রুপ টানা পাঁচ বছর ধরে সবচেয়ে দামি টুনা মাছ কিনে এসেছে, এবং তারা সৌভাগ্য নিয়ে আশা করছে। গ্রুপের কর্মকর্তা শিনজি নাগাও বলেন, “বছরের প্রথম টুনা মাছ এমন একটি বিষয়, যা সৌভাগ্য বয়ে আনে। আমাদের চাওয়া হলো, মানুষ এটি খাবে এবং তারা একটি চমৎকার বছর কাটাবে।”
কোভিড মহামারির সময়, নববর্ষের টুনা নিলাম আগের তুলনায় অনেক কম দামে বিক্রি হয়েছিল। মহামারির কারণে রেস্তোরাঁগুলো সীমিত পরিসরে চালু ছিল এবং লোকজন বাইরে খেতে অনাগ্রহী ছিল। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায়, টুনার দাম আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে।