বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার তল্লাশির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাজী সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন, যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক গত সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই চিঠি পাঠান। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের করা বিভিন্ন মন্তব্যও সংযুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি দল বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে অভিযান পরিচালনা করে। আদালতের অনুমোদন নিয়ে এই তল্লাশি চালানো হয়।
তবে অনুসন্ধানের পর দুদক জানায়, সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ ২৫ কর্মকর্তার নামে কোনো লকার খুঁজে পাওয়া যায়নি। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ও বর্তমান ২৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালানো হয়, তবে তাদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি। তবে আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যাদের বিষয়ে আদালতের অনুমোদন নিয়ে পরবর্তী অভিযান চালানো হবে।”
দুদকের অভিযানের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান সাংবাদিকদের বলেন, “দুদকের দল একটি তালিকা নিয়ে এসেছিল এবং সেটি লকারের তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখে। কিন্তু তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্নীতির বিরুদ্ধে, তবে যেন কেউ অযথা হয়রানির শিকার না হন।”
এর আগে, গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পেয়েছিল। সেই সম্পদ বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রয়েছে।