বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি হিসেবে আমিনুল ইসলাম বুলবুল দায়িত্ব নিয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন কাজের জন্য। গতকাল (৩১ মে) তিনি শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ বিসিবি একাডেমি, ইনডোর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ঘুরে দেখেছেন। এ সময় তিনি বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকেও অংশ নেন।
নতুন সভাপতি হিসেবে তার মূল লক্ষ্য—দেশীয় ক্রিকেটে গতি আনা এবং কাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা। বিশেষ করে আম্পায়ারিং বিভাগকে গুরুত্ব দিয়ে বুলবুল বলেছেন, "আম্পায়ারদের উন্নয়ন ছাড়া ক্রিকেট সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছাবে না।"
বুলবুল ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি টি-টোয়েন্টির গতিতে এগিয়ে যেতে চান। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর কোনো সময় নষ্ট না করে কাজ শুরু করেছেন। বিসিবির বিভিন্ন অভিযোগ ও দুর্বলতা দূর করার অঙ্গীকারও তার।
বোর্ড সভা ও আম্পায়ার্স কমিটির সভায় অংশ নিয়ে তিনি বলেন, দেশীয় ক্রিকেটে আম্পায়ারদের উন্নয়ন এবং স্বচ্ছতা আনাই তার অগ্রাধিকার।
শুক্রবার বিসিবি কার্যালয়ে পৌঁছানোর সময় পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠুর গাড়িতে করে প্রবেশ করেন বুলবুল। এ সময় তার সমর্থনে বাইরে থেকে আগত ব্যক্তিরা ‘বুলবুল ভাইয়ের আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ শ্লোগান দেন। উপস্থিত ছিলেন অনেক অখ্যাত ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মুখও। এই চিত্র অনেকটাই রাজনৈতিক নেতার নির্বাচনী এলাকায় আগমনের মতো।
তবে বুলবুল এসব বিষয় উপেক্ষা করে নিজের দায়িত্বের প্রতি মনোযোগী থেকেছেন। নিজের চোখে দেখেছেন বিসিবির অবকাঠামো এবং সংগঠনের বাস্তবতা।
সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের সময়কার ক্রিকেট অবনমন ও অনিয়মের অভিযোগ সরিয়ে বিসিবিকে একটি গতিশীল ও পেশাদার প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে চান বুলবুল। তার মতে, দর্শকদের ফিরে পেতে হলে ক্রিকেটে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিসিবি পরিচালক মিঠু জানিয়েছেন, "সভাপতি বুলবুল বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করেছেন এবং সেগুলোর দ্রুত সমাধানে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।"
চীন, আফগানিস্তানসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ক্রিকেট প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। বিসিবির পরিচালকরা মনে করছেন, তার এই আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা দেশের ক্রিকেটকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল বিসিবির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—গতি, স্বচ্ছতা ও উন্নয়নই তার মূল লক্ষ্য। প্রথম দিন থেকেই যেভাবে সক্রিয় হয়েছেন, তাতে বোর্ডের নতুন রূপ দেখতে চায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।