ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে গেলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের নাম। প্রথমবারের মতো এএফসি নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মিয়ানমারের মাটিতে শক্তিশালী স্বাগতিক দলকে হারিয়ে ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোল বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক সাফল্য এনে দেয়।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এই অর্জনকে ‘কঠিন পরিশ্রমের ফল’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন— “এই সুযোগ বারবার আসে না। আমাদের মেয়েরা দারুণ কিছু করেছে। এবার আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করা। সেই প্রস্তুতি আমরা এখন থেকেই শুরু করবো।”
ঋতুপর্ণা চাকমার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ কিরণ তাকে “নারী দলের মেসি” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন— “ঋতুপর্ণার বল কন্ট্রোল, গতি, ফিনিশিং—সব কিছুতেই মেসির ছায়া দেখা যায়। যেভাবে সে বল টেনে নিয়ে যায়, তা সত্যিই অনন্য।” তিনি আরও বলেন, “ছেলেদের দলে যেমন হামজা দেওয়ান তারকা, তেমনি মেয়েদের দলে ঋতুপর্ণা আমাদের বড় ভরসা।”
মাহফুজা আক্তার কিরণ আরও জানান, দলের মেয়েরা অত্যন্ত শৃঙ্খল এবং প্রতিশ্রুতিশীল। তিনি বলেন— “ম্যাচের আগে আমি মেয়েদের শপথ পড়াই, কথা বলি। তারা আমার কথা মন দিয়ে শোনে এবং মাঠে তা বাস্তবায়ন করে। এটা তাদের নিবেদন ও শৃঙ্খলার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।”
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের এই অর্জন কেবল ক্রীড়াঙ্গনের জন্য নয়, বরং পুরো জাতির গর্বের বিষয়। বিশ্বকাপের পথে যাত্রা শুরু করল তারা। দেশের মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন থাকলে তারা আরও বহু ইতিহাস গড়বে বলেই প্রত্যাশা।