ছারছীনা দরবার শরীফে তিন দিনব্যাপী আয়োজিত ১৩৫তম ঈছালে ছাওয়াব মাহফিল সোমবার (১ ডিসেম্বর) আখেরি মুনাজাতের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হয়েছে। লাখো ভক্ত-মুরিদান, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত অনুসারী এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ আধ্যাত্মিক মহাসম্মেলনে অংশ নেন।
আখেরি মুনাজাতের আগে মিলাদ, জিকির, খুতবা ও বিশেষ ওয়াজ শেষে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন আমীরে হিযবুল্লাহ, ছারছীনা দরবার শরীফের পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমদ হুসাইন (মা.জি.আ.)।
বক্তৃতায় পীর ছাহেব কেবলা বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট অত্যন্ত টালমাটাল। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশের ৯২ ভাগ মুসলিম জনতার স্বার্থ রক্ষায় অত্যন্ত সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সামান্য ভুল সিদ্ধান্তেরও খেসারত জাতিকে যুগ যুগ ধরে দিতে হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, ইসলামী হুকুমত কাম্য হলেও ইসলামের নামে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বিরোধী কোনো ইজম বা মতবাদ কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, সাহাবায়ে কেরাম ও আউলিয়ায়ে কেরামের হাত ধরে ভারতীয় উপমহাদেশসহ বাংলাদেশে দলে দলে মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়ায় প্রবেশ করেছে।
ভক্ত ও মুরিদদের উদ্দেশে পীর ছাহেব কেবলা বলেন— “আবেগে হুজুগে বাঙালি হবেন না। যথাসময়ে আমাদের পক্ষ থেকে নির্দেশনা পৌঁছে যাবে। তখন সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ, জাতি ও ইসলামের কল্যাণে ভূমিকা রাখবেন।”
তিনি নিয়মিত জিকির, দরূদ, অজিফা ও আমলসমূহ পালন করার পরামর্শ দেন। প্রতিটি মসজিদে সাপ্তাহিক তা’লিমী জলসা চালুর আহ্বান জানান এবং জমইয়াতে হিযবুল্লাহর পতাকাতলে সবাইকে সমবেত হওয়ার তাগিদ দেন।
এছাড়া পীর ভাইদের প্রতি দেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে দ্বীনিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার গ্রহণ করেন।