বীজজাতীয় খাবারের মধ্যে চিয়া সিড একটি সুপরিচিত ও পুষ্টিকর খাবার। মিন্ট প্রজাতির এই উদ্ভিদের বীজ শরীরে শক্তি জোগায় এবং স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাত্র এক সপ্তাহ নিয়মিত চিয়া সিড খেলে শরীরে দেখা দিতে পারে কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
১. বয়স বৃদ্ধির গতি ধীর করে
চিয়া সিডে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, যা শরীরের ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে কাজ করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল ডিএনএ ও কোষ নষ্ট করে, যার ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দ্রুত পড়ে। নিয়মিত চিয়া সিড খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়া ধীর হয়।
২. ওজন কমাতে সহায়ক
প্রচুর ফাইবার সমৃদ্ধ চিয়া সিড দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, যা অতিরিক্ত খাবার খাওয়া কমায়। সকালে ২ চা–চামচ চিয়া সিড খেলে ওজন কমাতে সহায়তা মেলে। এছাড়া খালি পেটে লেবু ও মধুর সাথে পানিতে মিশিয়ে খেলেও মেদ কমাতে কার্যকর।
৩. হার্টের সুরক্ষা
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ চিয়া সিড কোলেস্টেরল কমায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা হার্টের সুস্থতার জন্য উপকারী।
৪. হাড় মজবুত করে
চিয়া সিডে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাস, যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করে এবং স্নায়ু ও পেশির কার্যকারিতা উন্নত করে।
৫. রক্তে সুগার স্পাইক কমায়
চিয়া সিড কার্বোহাইড্রেটকে ধীরে রক্তে মিশতে সাহায্য করে, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে যায় না। এটি টাইপ–টু ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।
খাওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ
প্রতিদিন সকাল বা বিকেলে অথবা দুবার খাবারের মাঝখানে খেতে পারেন।
দিনে অন্তত ২ চা–চামচ (১০ গ্রাম) চিয়া সিড খাওয়া উপকারী, সর্বোচ্চ ১০০ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।
পানিতে গুলিয়ে, সারা রাত ভিজিয়ে অথবা স্মুদি, ফলের রস, ওটস ও সালাদের সাথে খাওয়া যেতে পারে।
চিয়া সিডকে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যুক্ত করলে অল্প সময়েই শরীরের ভিতরে ইতিবাচক পরিবর্তন অনুভব করতে পারবেন।