ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ বিদেশি শত্রুরা ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে অস্থিতিশীল করতে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে লক্ষ্যবস্তু করার ষড়যন্ত্র করছে। গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব শনিবার এ সতর্কবার্তা দেন।
তিনি বলেন, “শত্রুরা সর্বোচ্চ নেতাকে বিভিন্নভাবে টার্গেট করতে চাইছে—কখনো হত্যাচেষ্টার মাধ্যমে, কখনো শত্রুতাপূর্ণ আক্রমণের মাধ্যমে।” তবে সাম্প্রতিক কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার প্রসঙ্গ তিনি উল্লেখ করেননি।
এ বছরের জুন মাসে ইসরায়েল–ইরান ১২ দিনের যুদ্ধের আগে ও চলাকালে খামেনির জীবনের ওপর গুরুতর হুমকি তৈরি হয়েছিল বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়। খতিব বলেন, “যারা সচেতনভাবে বা অজান্তে এই ষড়যন্ত্রে অংশ নেয়, তারা শত্রুর অনুপ্রবেশকারী এজেন্ট হিসেবে বিবেচিত।”
এ বছরের শুরুতে সংঘাতে ইসরায়েল ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পরমাণু বিজ্ঞানী, বিভিন্ন সামরিক ও প্রযুক্তিগত স্থাপনা এবং আবাসিক এলাকায় হামলা চালায়। পরে যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে হামলা চালায়।
সেসময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলের খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় নীরব সম্মতি দিয়েছিলেন—মার্কিন গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও দুই পক্ষই বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও সম্প্রতি জানান, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তিনি খামেনির নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং যে কোনো সময় বড় আক্রমণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিলেন।
জুলাই মাসে আয়াতুল্লাহ খামেনি এক ভাষণে বলেন, “ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন আক্রমণের মূল লক্ষ্য ছিল ইরানকে দুর্বল করা, অস্থিরতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে সরকার উৎখাতের পরিবেশ তৈরি করা।”
ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় বলছে, চলমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের সতর্কতা ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।