পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার ধনমন্ডল ঢাকাইয়াপাড়া এলাকায় মোকলেছার রহমান (৩০) নামে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে তার বাড়ির পাশের বাঁশ বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মোকলেছার রহমান ওই এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন মুদি দোকানের ব্যবসায়ী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল বেলায় এক আত্মীয় বাঁশ বাগানের পাশে ছাগল বাঁধতে গিয়ে প্রথমে মরদেহ দেখতে পান। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং খবর পেয়ে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ, সিআইডি ও পিবিআই যৌথভাবে মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
নিহতের বাবা বলেন, “আমার ছেলেকে তার পরিচিত কেউ পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।”
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, “রাত ৮টার সময় আমার স্বামীর সঙ্গে শেষ কথা হয়। তাকে বাজার থেকে কিছু খরচ আনতে বলি। সে বলেছিল, ‘বাড়ি ফেরার সময় খরচ নিয়ে আসব।’ এরপর রাত ১০টার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাই। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। এখন আমি তিনটি মেয়েকে নিয়ে কীভাবে চলব?”
নিহতের ভাগিনা সাদেকুল জানান, “রাত ৮টার দিকে মামা আমাকে দোকানে রেখে বললেন, ‘তুমি থাকো আমি আসছি।’ পরে আর ফেরেননি। ফোন করলে বন্ধ পাই। আমি দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরি, কিন্তু মামা বাড়িতে আসেননি।”
পরিবারের সদস্যদের দাবি, বুধবার রাত ৮টার পর থেকে মোকলেছার নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে বাঁশবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
দেবীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সামুয়েল সাংমা জানান, “আমাদের প্রাথমিক ধারণা, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করছে সিআইডি, পিবিআই ও দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।”
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।