লনায় ৮ দলের বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগ দেওয়ায় ঝিনাইদহের দিঘলিয়া উপজেলার আজিজুল উলুম মোল্লাডাঙ্গা শাহ্ নূরিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় বিএনপি নেতা বিল্লাল মোল্লার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ৮ দল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
গত ১ ডিসেম্বর খুলনায় অনুষ্ঠিত ৮ দলের বিভাগীয় মহাসমাবেশে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। পরে বিষয়টি সভাপতি বিল্লাল মোল্লার কানে পৌঁছালে তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাদ্রাসায় এসে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকরা বিষয়টি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করলে সভাপতির লোকজন কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসা থেকে বের করে দেন। রাত গভীর পর্যন্ত তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য করা হয়। শীতের কারণে কষ্টে থাকা এতিম শিশুরা সভাপতির কাছে ক্ষমা চাইলে তাঁদের মাদ্রাসায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। তবে প্রায় ২০–২৫ জন শিক্ষার্থী ক্ষমা চাইতে রাজি না হলে তাদের হুমকি দিয়ে মাদ্রাসা চত্বরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকালে গাজীরহাটের কোলা বাজার চত্বরে ৮ দলের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গাজীরহাট ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি মোঃ আব্দুল কাদের। প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর শুরা সদস্য স. ম. এনামুল হক।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস খুলনা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মাহফুজুর রহমান, দিঘলিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মুশফিকুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস তেরখাদা উপজেলা সভাপতি মুফতি আব্দুল কাদের, ইসলামী আন্দোলন দিঘলিয়া উপজেলা সভাপতি জাফর মাস্টার, মোঃ সাজু (ইসলামী আন্দোলন), মোঃ ইসমাইল এবং উপজেলা জামায়াতের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ, হুমকি ও অসৌজন্যমূলক আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেন।