প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ৮:২০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১, ২০২৫, ৫:০৩ পি.এম
ডা. এজাজুল ইসলামের ক্ষোভ: ভেজাল ঘি–বিজ্ঞাপনে ভোক্তা অধিদপ্তরে তলব, আর কখনো খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করবেন না
নিচে আপনার দেয়া তথ্য দিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে লেখা, আকর্ষণীয়, Yoast SEO–ফ্রেন্ডলি, উচ্চ রিডেবিলিটিযুক্ত একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হলো। এতে Focus Keyword, SEO Title, Meta Description, URL Slug এবং Tags
বাংলাদেশের ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ ডা. এজাজুল ইসলাম, যিনি দর্শকদের কাছে ‘ডা. এজাজ’ নামেই বেশি পরিচিত, সম্প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার মুখোমুখি হয়ে চরম হতাশার কথা প্রকাশ করেছেন। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বহু নাটক–সিনেমায় অভিনয় করে যিনি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছেন, সেই অভিনেতাকে এবার তলব করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর। কারণ—এক অনলাইন প্রতিষ্ঠান “খাঁটি-ঘি”–এর বিজ্ঞাপনে যুক্ত থাকার পর গ্রাহক প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসে।
একজন ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তা গণমাধ্যমকে জানান, অনলাইনে বহু বিজ্ঞাপন দেখেও তিনি বিশ্বাস পাননি। কিন্তু ডা. এজাজকে পণ্যের প্রশংসা করতে দেখে ভরসা পান। পরে বুঝতে পারেন—ঘিয়ের মান নিম্নমানের এবং তিনি প্রতারিত হয়েছেন। অনলাইনে অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি ভোক্তা অধিদপ্তরের দৃষ্টিতে আসে এবং অভিনেতাকে তলব করা হয়।
ডা. এজাজ জানান, প্রতিষ্ঠানটির এক পরিচালক তাকে বিএসটিআই–এর লোগো দেখিয়ে পণ্যের মান সম্পর্কে আশ্বস্ত করেছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন যে পণ্যটি পরীক্ষিত ও মানসম্মত। কিন্তু অভিযোগ ওঠার পর তিনি নিজেই ভোক্তা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন এবং সত্য উদঘাটনে কঠোর তদন্তের অনুরোধ জানান।
তবে অভিযোগের পরও বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিজ্ঞাপন বন্ধের অনুরোধ জানালেও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ডা. এজাজ বলেন— “বলেছি বিজ্ঞাপন বন্ধ করুন, মানুষকে প্রতারণা করবেন না। কিন্তু তারা শুনছে না। তাই ভোক্তা অধিদপ্তরকে জানিয়েছি।”
সবশেষে তিনি দৃঢ় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন— “এই ঘটনার পর স্থির করেছি—জীবনে আর কখনো খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপন করব না। মানুষের বিশ্বাস কেউ যেন আর ব্যবহার করতে না পারে।”
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত